নলকূপ থেকে বেরোনো গ্যাস দিয়ে করতে পারবেন রান্না, কিনতে হবেনা আর রান্নার গ্যাস!











নিজস্ব সংবাদদাতা: কিছুদিন থেকেই মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসছিল প্রাকৃতিক গ্যাস। সেই গ্রামের বিজ্ঞানমনস্ক কোন ব্যক্তির মাথা থেকে হয়তো বা বেরিয়েছিল এক দারুন বুদ্ধি। বৈজ্ঞানিক বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে তারা সকলেই সেই গ্যাস থেকেই দিব্যি রান্না চালাচ্ছিলেন।





এরকম খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চা-ঞ্চ-ল্য ছড়িয়ে যায়।সেই গ্যাসের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য আই ও সি এল অর্থাৎ ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড এর পক্ষ থেকে সেই জায়গা দেখতে যান আধিকারিকরা।সেখানকার গ্যাসের নমুনা নিয়ে পাঠানো হয় ল্যাবে।





গত আগস্ট মাসে সুতাহাটার গুয়াবেড়িয়া অঞ্চলের খড়িবেড়িয়া গ্রামে গত আগস্টে একটি নলকূপ খনন করার কাজ চলছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় গ্যাসটি মিথেন। সেই গ্যাসে দিসলাই জ্বালালে জ্বলছিল আগুন। ব্যস এতেই খুশি গ্রামবাসীরা। রীতিমতো গ্যাসের ওভেন লাগিয়ে তারা রান্নার কাজ চালাচ্ছিলেন।
হলদিয়া রিফাইনারি সূত্রের জানা যায়, শনিবার ঘটনাস্থলে বিশেষজ্ঞদ দল পরিদর্শনে যায়। সেই গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে সেই গ্যাসটি আসলে কি গ্যাস।
সেই গ্যাসের চাপ মাপা হয়। আইওসির পক্ষ থেকে জানানো হয় মাটির তলার দিকে যে পাইপ লাইন রয়েছে সেই পাইপলাইন থেকে কোনরকম লিকেজ হয়নি। এবং এই যে গ্যাস উঠে আসছে এর সাথে সেই পাইপলাইনে কোন সম্পর্ক নেই।





আইওসি’র এক আধিকারিক জানান, “জেলাশাসক পার্থ ঘোষের কাছ থেকে গ্যাস বেরনোর বিষয়টি জানার পরে একটি প্রতিনিধিদল এলাকায় পাঠানো হয়েছিল। প্রথমেই দলের সদস্যেরা দেখে নেন যে, ওই গ্যাসের উৎস কোনও পাইপলাইন কি না।” তবে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় 7 কিলোমিটার দূরে রয়েছে আইওসির গ্যাসের পাইপ লাইন কিন্তু এখনও তাদের খবর অনুযায়ী কোন রকম লিকেজ হয়নি।





আইওসি’র সঙ্গে পরিদর্শনে জন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের (এইচডিএ) প্রতিনিধিরা। খড়িবেড়িয়া গ্রামে মাটির নীচ থেকে আসা গ্যাসে রান্না বন্ধ করার নির্দেশ প্রশাসন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শেখ শাহনেওয়াজ জানিয়েছেন, ‘‘প্রশাসনের নির্দেশ মত গ্রামবাসীদের রান্না বন্ধ করা হয়েছে।’’ আইওসি’র আধিকারিক সমরেন্দ্র নাথ ঝাঁ জানান, ‘‘আমরা জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়েছে।’’



















