







নিজস্ব প্রতিবেদন:সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের কাছে এমন একটি মাধ্যম যা বর্তমানে আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে।এই নেট মাধ্যম সাধারণভাবে হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে খুব সহজেই যে কোন সম্প্রদায়ের ধারণা, চিন্তা ভাবনা এবং অন্যান্য তথ্য ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে।




বর্তমানে স্মার্টফোনে সহজলভ্যতার কারণে খুব দ্রুত মানুষের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ছে।ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে ঘুমোতে যাবার সময় পর্যন্ত প্রায় সব সময় আমরা হাতে স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি বর্তমানে গণমাধ্যম এর থেকেও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়া।




সম্প্রতি কয়েক দিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। সরস্বতী পূজার পরের দিনই জনপ্রিয় এই গায়িকার মৃত্যুর খবরে রীতিমতো শোকের ছায়া সংগীতজগতে।




প্রায় 27 দিন ধরে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। করোনা ও নিউমোনিয়া ছাড়াও একাধিক বার্ধক্য জনিত সমস্যা ছিল তার শরীরে। প্রথম দিকে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। তবুও শেষ রক্ষা করা গেল না। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল 92 বছর।




লতা মঙ্গেশকর মানেই এক স্বর্ণময় অধ্যায়।তার গাওয়া প্রতিটা গান সারা জীবন মানুষের মনের মনিকোঠায় গেঁথে থাকবে।সম্প্রতি নেট মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে লতাজির বোন আশা ভোঁসলেকে কাঁদতে কাঁদতে দিদির স্মৃতিচারণ করতে দেখা যাচ্ছে। প্রথমেই আশা ভোঁসলে বলে ওঠেন,”আমি তোমার স্কুল ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম দিদি, আমি তোমার থেকে এখন অনেকটাই দূরে রয়েছি, কিন্তু অনেকটাই কাছে আছি।




আমি এখন কেরালায় বসে আছি। তুমি বলেছিলে দিদি কাজটা কাজই হয়। জন্ম-জন্মান্তর ধরে আমরা অনেক কাজ করে এসেছি একসাথে। তুমি এটাও বলেছিলে দিদি যে তুমি ফিরে আসো তারপর আমরা একসঙ্গে জন্মদিন পালন করব।




তোমার মনে আছে দিদি আমি যখন ছোট ছিলাম অনেক ছোট ছিলাম আমি তখন,একটু মোটাও ছিলাম আর ফর্সাও ছিলাম তুমি আমাকে কোলে করে উঠিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে আবার দিয়ে কখনো পড়ে যেতে।




আর এরকম পড়তে পড়তেই আমার কত লেগেছে, তোমারও কত লেগেছে, আমার তো এখনো সেই পড়ে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে আর তোমারও তো মাথায় সেই দাগ রয়েছে।কতদিন আমাদের দুজনের শরীর খারাপ ছিলো তারপর থেকে প্রত্যেকটা সময় আমি তোমার সাথে ছিলাম”।




আশাজির এই কথা শুনে বোঝাই যাচ্ছে দিদির মৃত্যুতে কতটা দুঃখ পেয়েছেন তিনি। ভিডিওটি দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বহু মানুষ। চাইলে এই ভাইরাল ভিডিওটি আপনারাও দেখে নিতে পারেন।











