





নিজস্ব প্রতিবেদন:-গত বৃহস্পতিবার বিজেপির যুব মোর্চার নেতৃত্বে পেয়েছিল নবান্ন অভিযান। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিজেপি নেতা কর্মীরা জামায়াত- করেছিল কলকাতায় । গত বৃহস্পতিবার একাধিক প্রতিবাদের ইস্যু নিয়ে নবান্ন অভিযান এর পথে পা মিলিয়ে ছিলেন প্রায় ৫০,০০০ বিজেপি কর্মী। শহরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে নবান্নের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন বিজেপি । যদিও তারা নবান্নের ধারে কাছে ঘেষতে পারেনি । মোতায়েন করা হয়েছিলো অ-তি-রি-ক্ত পুলিশ বাহিনী। বৃহস্পতিবার ৪টি মিছিলের মধ্যে ২টি মিছিল কলকাতা থেকে ও ২টি মিছিল হাওড়ায় থেকে শুরু হয় ।





কলকাতায় বিজেপির রাজ্য সদর দফতরের সামনে থেকে নবান্ন অভিযানে নেতৃত্ব দেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হেস্টিংস থেকে একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়। এছাড়া সাঁতরাগাছি থেকে যে মিছিলটি বেরিয়েছিল তাতে নেতৃত্ব দেন সায়ন্তন বসু ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৫০ হাজার এর বেশি সমর্থক নিয়ে ওইদিন নবান্ন অভিযান চালায় গেরুয়া শিবির ।কিন্তু এই নবান্ন অভিযান আসলে বামফ্রন্টের দেখানো একটি পথ এমনটাই মন্তব্য করেন সিপিএম এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।





স্যানিটাইজ করার জন্য দুদিন নবান্ন বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে সরকার। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর ক-টাক্ষ, “নবান্নে তালা দিয়ে চলে গেলেন। কীভাবে বিজেপির মোকাবিলা করবেন?এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বামেদের নবান্ন অভিযানের প্রসঙ্গ টেনে তাদের সময় এর নবান্ন অভিযান এর কথা । । তিনি বলেন, “আমরা যখন নবান্ন অভিযান করেছিলাম তখন কত জায়গায় আ-ক্রমণ, কত কিছু হয়েছিলো। আর আজ মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গেলেন। উনি বিজেপিকে ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন।





আসলে মুখ্যমন্ত্রীই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির মাটি তৈরি করেছেন। উনিই ডেকে এনেছিলেন। উনিই বলেছিলেন বিজেপির সঙ্গে ফ্রন্ট করবেন। ওয়ান টু ওয়ান লড়াই করবেন। বিজেপির সঙ্গে দু’দুবার সরকারে গিয়েছেন। আর যখন মন্ত্রিত্ব ছিলনা তখন আর এস এস-এর হেড কোয়ার্টারে গিয়ে বলেছিলেন, আপনারা দেশপ্রেমিক। বামপন্থীদের হটাতে ১ শতাংশ সমর্থন দিন। আর ওরা তখন ওনাকে বলেছিলেন মা দুর্গা।”যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়েছে যে মিছিল কে প্রতিহত করার জন্য পুলিশ যে জলকামান ব্যবহার করেছে তাতে কেমিক্যাল মেশানো ছিল ।





এবং সেই কেমিক্যাল এর সং-স্পর্শে এসে রীতিমতো অ-সুস্থ হয়ে যান রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু সহ আরো অনেক নেতাকর্মীরা । তবে এই প্রসঙ্গে সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, “আমাদের নবান্ন অভিযানের সময়ও তো গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছিল। আমাদের তো চোখ জ্বালা করছিল। আমরা চোখে দেখতে পাচ্ছিলাম না। বামপন্থীরা এই পথ দেখিয়েছে। এখন অনেকে অনুকরণ করছে।” নবান্ন অভিযান নিয়ে রীতিমতো ধু-ন্ধু-মার অবস্থা রাজ্য জুড়ে ।




