









নিজস্ব প্রতিবেদন:- এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেও সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে । তার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবেও বিভিন্ন প্রকল্প রাজ্যে লাগু করেছেন ।যেসব প্রকল্প গুলি পরবর্তীকালে বাংলাকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বদরবারে। করেছে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ। তবে কিছু কিছু প্রকল্প থেকেছে যেগুলি সুনামের থেকে বদনাম এসেছে বেশি ।





আমরা দেখেছিলাম আ-ম্ফা-ন এর পর যারা আম্ফান এর কবলে পড়ে ক্ষ-তিগ্রস্ত হয়েছিলেন সেই সমস্ত মানুষদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার অনুদান দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ।কিন্তু সেখানে দেখা গিয়েছিল যে আদতে যারা ক্ষ-তিগ্রস্ত তাদের তালিকায় নাম নেই বরং সেই তালিকায় নাম আছে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের। পাশাপাশি যারা যাদের উপর বিন্দুমাত্র আম-ফানের আচঁ অব্দি পড়নি তাদের নাম আছে ওই তালিকায় ।রীতিমতো সেই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছিল রাজ্যের তৎপরতা নিয়ে। কিন্তু কোথাও যেন এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।





এই দীর্ঘ লকডাউন এর ফলে কার্যত কর্মহীন অনেকে ।কিভাবে তাদের সংসার চলবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না । তবে তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যারা তারা হলেন পুরোহিত। যাদের সংসার চলে একটা মন্দিরে পুজো করা উপর নির্ভর করে । কিন্তু লকডাউনের ফলে মন্দির বা কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ । তাই সে রকম ভাবে আয়া হয়নি । কিভাবে চলবে সংসার তাদের? তাই সেই সমস্ত পুরোহিতদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার । ঘোষণা করেছিল পুরোহিত ভাতা।





কিন্তু সেই পুরোহিত ভাতা এ তালিকায় যাদের নাম প্রকাশ্যে এলো তারা আদতে ব্রাহ্মণ নয় । এমন ঘটনা ঘটেছে নদিয়া জেলা তেহটটো ব্লকে। সেখানে যারা বহু বছর ধরে বিভিন্ন মন্দিরে পুজো করা আছে সেই সমস্ত ব্রাহ্মণদের অভিযোগ যে এই তালিকায় এমন সব নাম রয়েছে যারা আদতে ব্রাহ্মণই নয় । এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। তেহট্ট-১ বিডিও অচ্যুতানন্দ পাঠক জানিয়েছেন, জেলা থেকেই তাঁদের কাছে পুরোহিত ভাতার একটি তালিকা পৌঁছয়। সেই তালিকা অনুসারে পুরোহিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাগজপত্র জমা নেওয়া হয়েছে।





অভিযোগ এমন উঠেছে যে পুরোহিত ভাতার তালিকায় নাম আছে জেলা পরিষদের সদস্য টিনা সাহার স্বামীর । তবে এ ব্যাপারে টিণা সাহা খোলাখুলি জানিয়েছেন যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের পরিবারে ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তার স্বামীর নাম তালিকার অন্তর্ভুক্ত করেছে। তার পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন তাঁর পদবি সাহা কাজেই কোনো মতে তিনি ব্রাহ্মণ হতে পারেন না অতএব যেহেতু তিনি ব্রাহ্মণ নন তাই পুরোহিত ভাতা পাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না”





অপরদিকে সেখানকার পুরোহিতদের কথাও মনে হচ্ছে যে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া সমস্ত ভাতা গুলি শুধুমাত্র তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী বা সদস্যদের জন্য ।যদিও এমনটা তারা রাগের বশে বলেছে। তাদের বক্তব্য সাহা পদবী বিশ্বাস কখনো ব্রাহ্মণ হতে পারে না । কিন্তু সে রকমই নাম তালিকাভুক্ত তে রয়েছে। তাহলে কি আম্ফান এর মতো এখানেও দুর্নীতি দেখা গেল? আগামী দিনে এই দুর্নীতি রুখতে সরকার কি ভূমিকা নেই সেটাই দেখার বিষয়।



















