









নিজস্ব প্রতিবেদন :- আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা মাস । তারপর এই বাংলায় হতে চলেছে ভোটযু-দ্ধ ।অর্থাৎ আগামী বছর হতে চলেছে একুশের বিধানসভা ভোট ।ভোট কে মাথায় রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির প্রস্তুতি ইতিমধ্যে তুঙ্গে । মোড়ে মোড়ে রাস্তায় রাস্তায় দেখা যাচ্ছে মিটিং মিছিল সভা। তার পাশাপাশি চলছে মানুষের বিশ্বাস অর্জন এর কাজ। এতদিন ধরে তাদের শাসকদল কি কি খামতি রেখেছে বা বি-রো-ধী দল তাদের কিভাবে ভুল বুঝাচ্ছে সে নিয়ে চলছে দ্বন্ধ । মোটকথা মানুষকে যেমন করে বুঝিয়ে হোক ক্ষমতায় আবার আসতে হবে। তাই সে দিক থেকে কোন খামতি রাখেনি কোন রাজনৈতিক দলগুলিই ।





কিন্তু ইতিমধ্যেই যত ভোট এগিয়ে আসছে ততই যেন জট পাকাচ্ছে দলগুলির অভ্যন্তরীণ সদস্যদের মধ্যে ।অর্থাৎ কোথাও কোথাও দলের মধ্যে মত-বি-রো-ধ দেখা যাচ্ছে । সম্প্রতি হুগলি জেলার সভাপতি দিলীপ যাদবের বি-রু-দ্ধে উঠে আসে একরাশ অভি-যোগ এবং এই অভি-যোগ করে তারই দলের নেতৃবৃন্দরা। জানা যায় যে লোকসভা নির্বাচনে হুগলী জেলাতে বিজেপির ফল ভালো হওয়াতে তপন দাশগুপ্ত কে সরিয়ে ক্ষমতায় আনা হয় দিলীপ যাদব কে ।প্রথম দুদিন ঠিক ঠাক চললেও পরে দলের বাকি সবারই অনুমতি ছাড়া সভা মিটিং-মিছিল ইত্যাদি আয়োজন করতে শুরু করে দিলীপ যাদব ।যদিও এ ব্যাপারে সরব হয়েছিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পোদ্দার ।





ভোটের মুখে এ ধরনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মোটেও বরদাস্ত করবে না তৃণমূল কংগ্রেস ।তাই ঐদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়েছিল হুগলী জেলাতে । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আয়োজন করা ঐ বিশেষ বৈঠকে হস্তক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর । বৈঠকের মাঝেই তিনি ফোন করেন এবং দীর্ঘক্ষন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এর পাশাপাশি দিলীপ যাদবের ক্ষমতা খর্ব করা হয়। । গঠিত হয় কোর কমিটি। মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ককে নিয়ে ৭ জনের কোর কমিটি গঠন করা হয়।





এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি তিনি এটাও জানেন যে দরকার হলে হুগলি জেলা আমি নিজে দেখব। কার্যত ভোটের আগে দলের ভা-ঙ্গ-ন রুখতে এরকম কড়া পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী এমনটাই মনে করছেন অনেকে। তবে তার এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো খুশি কমিটির সদস্যরা ।



















